All Kinds of Tips and Tutorials Available Here

Latest Post

allinallbd24

 

 ইসলামে নারীর মর্যাদা এবং পর্দার বিধান 

ইসলাম একটি বাস্তব জীবন দর্শনের নাম। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে প্রতিটি বিষয়ের জন্য রয়েছে এর সুস্পষ্ট বিধি নিষেধ। আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই সবচেয়ে বেশী জানেন কোনটি আমাদের জন্য কল্যাণকর ও কোনটি কল্যাণকর নয়।
আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা রমণীকে পর্দা করা ও তার শরীরের যে সব অঙ্গ প্রকাশ করা একান্ত জরুরী নয় তা ঢেকে রাখার যখন হুকুম করেছেন তখন এতে কোনই সন্দেহ নেই যে, এই কাজে রমণীর কল্যাণ ও মঙ্গল রয়েছে। আর এর সাথে সাথে মঙ্গল রয়েছে সমগ্র সমাজের। ইসলামে আনুগত্যের
ভিত্তি পরিপণূর্  রূপে ঈমানের উপর প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান রাখে, শরীয়তের আদেশ নিষেধ তারই জন্য। একজন নারী যখন জানতে পারে যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমাজের মধ্যে তার জন্য কি স্থান নির্ধারন করেছেন তখন তার ঈমানের দাবী এই হয় যে, সে নারী যেন সন্তুষ্ট চিত্তে ও আগ্রহ সহকারে সেই স্থান মেনে নেয় এবং নিজের নির্ধারিত সীমা লংঘন না করে।
যারা পথভ্রষ্ট ও ইসলাম ধমর্  থেকে বহির্ভূত এবং কাফিরদের চিন্তা ধারায় প্রতিপালিত, তারা সদা সর্বদা ‘আধুনিক সভ্যতা থেকে মুসলিমরা পিছপা’ এ রকম ইঙ্গিত করছে। আর এমনটাই ইসলামের প্রতি তাদের ধারণা। তারা এ সমস্ত নিকৃষ্ট কথা ও কাজ দ্বারা ইসলামের রূপকে বিকৃত করছে এবং
ইতিহাসের প্রকৃত সত্যকে মুছে দিতে চাচ্ছে। মুসলিমরা যতদিন তাদের দীনকে আঁকড়ে ধরেছিল ততদিন পর্যন্ত তাদের সভ্যতা, মান, সম্মান ও নেতৃত ¡ সম্পকের্  স্বাক্ষ্য বহন করে ইতিহাস। যতদিন ইসলামী দেশগুলি জ্ঞান বিজ্ঞানের বিদ্যাপিঠ ছিল ততদিন তারা প্রকৃত পক্ষে মুসলিমই ছিল।
আইয়ামে জাহিলিয়াতের অন্ধকার যুগে যখন নারীর অধিকার বলতে কিছুই ছিল না, তখন একমাত্র ইসলামই তাকে দিয়েছিল অতুলনীয় সম্মান ও ঈর্ষনীয় অধিকার। সমাজ জীবনকে সুন্দর, কুলষমুক্ত রাখার স্বাথের্, সামাজিক জীব হিসাবে মানুষের নৈতিক চরিত্র উন্নত করার স্বাথের্  আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে বিধি নিষেধ এসেছে। সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধের জন্য প্রদত্ত হয়েছে পর্দার আদেশ যা নারী পুরুষ সকলের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। নারী নির্যাতনের সর্বোচ্চ ধ্বজাধারী বর্তমান সময়ে পৃথিবীর চিন্তাশীল জ্ঞানী ব্যক্তি মাত্রই মুক্ত কন্ঠে স্বীকার করতে বাধ্য যে, নারী নির্যাতন রোধে ও নারীর সামাজিক সম্মান প্রতিষ্ঠায় পর্দার বিকল্প নেই।
মানব প্রকৃতির মধ্যে লজ্জা প্রবনতা এক অতি স্বাভাবিক প্রবনতা। তাদের শরীরে এমন কিছু অংশ আছে যা ঢেকে রাখার ইচ্ছা আল্লাহ তা‘আলা তার শারীরিক উপদানের মধ্যে সৃষ্টি করে দিয়েছেন। এ শারীরিক সংগঠনিক ইচ্ছাই মানুষকে আদিকাল হতে কোন না কোন প্রকারের বস্তু পরিধান করতে বাধ্য করেছে। কুরআনে উল্লেখ আছে, মানব শরীরের যে সকল অংশ নারী পুরুষের জন্য যৌন আকর্ষন আছে, তা প্রকাশে লজ্জা বোধ করা এবং আচ্ছাদিত রাখার চেষ্টা করা মানব প্রকৃতির স্বাভাবিক চাহিদা। অবশ্য শয়তানের ইচ্ছা, যেন মানুষ এ সমস্ত খোলা রাখে। অথ অতঃপর শয়তান আদম ও তার স্ত্রীকে প্ররোচিত করলো, যেন তাদের যে অংশ আচ্ছাদিত ছিল
তা তারা উন্মক্তু করে। (সূরা আরাফ, ৭ঃ ২০ আয়াত)।
ইসলামের সব চেয়ে গুরুত্তপূর্ণ বৈশিষ্ট্য এই যে, যখন কোন কাজকে হারাম বা নিষিদ্ধ করা হয় তখন সেই হারাম কাজের সব ছিদ্রপথ, যা মানুষকে হারাম কাজে পৌঁছে দেয়, তা সবই বন্ধ করে দেয়া এবং সমস্ত কাজগুলোর ফলাফল বা পরিণাম বক্তিগত বা সমষ্টিগত ভাবে মানব সমাজে কেন এবং কি ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে তা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিয়ে হারাম ঘোষণা করে দেয়া। অতএব যে সব কাজ যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে, নারী বা পুরুষকে নৈতিক অধঃপতনের দিকে নিয়ে যায়, নির্লজ্জ কাজে উদ্বুদ্ধ করে কিংবা তার কাছে পৌঁছে দেয় বা সে কাজ সহজতর করে দেয়,
ইসলাম সেই সবই কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, সম্পণূর্  হারাম করে দিয়েছে এবং কঠোর শাস্তি বিধানের ব্যবস্থা করেছে। কেননা হারামের পথ থেকে রক্ষা পাওয়া কারো পক্ষেই সম্ভব হয় না এবং কোন ক্রমেই বিপর্যয় রোধ করা যায় না। অর্থাৎ ধ্বংস অনিবাযর্, তা রোধ করা সম্পণূর্  অসম্ভব হয়ে পড়ে। বর্তমান বিশ্ব নারীদেরকে পণ্য হিসাবে পরিগণিত করেছে। তথাকথিত সুশিক্ষিত সুসভ্য জাতির দাবিদার এবং অগ্রগতি ও প্রজাতির ধ্বজাধারীরা ইসলামে নারীদেরকে দেয়া মান সম্মান ধুলোয় লুটিয়ে
দিয়ে তাদেরকে শুধু ভোগের সামগ্রী হিসাবে বিশ্ব সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এর ফলে নানা ধরনের নারী ঘটিত অপরাধ প্রবণতা বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিঘ্নিত হচ্ছে নারী জাতির নিরাপত্তা। নারীদেরকে সিনেমা, টেলিভিশন, থিয়েটার, বিজ্ঞাপন, পত্র-পত্রিকায় নগ্ন, অর্ধনগ্ন অবস্থায় উপস্থাপন
করা হচ্ছে। নায়ক নায়িকাদের যৌন আবেদন মূলক অশ্লীল, অশোভন অভিনয়, নাচ-গান, বেহায়াপনা, স্পর্শকাতর গোপন অঙ্গ প্রত্যঙ্গসহ উত্তেজনা সৃষ্টিকারী দেহ প্রদর্শন করার ফলে সমাজের সকল শেণ্রীর মানুষের মধ্যে কুৎসিত চিন্তা চেতনা জাগ্রত করার মাধ্যমে কামোদ্দীপনা সৃষ্টি করে
নারীঘটিত অপরাধ বহু গুণে বাড়িয়ে তুলেছে। নারী জাতির এ বেহাল অবস্থা দর্শন করে সর্বস্তরের জনসাধারণ হারিয়ে ফেলেছে নারীদেরকে মা বোনদের মত সম্মান করার মন মানসিকতা, তারা হারাতে বাধ্য হয়েছে তাদের হৃদয়ের পবিত্রতা। ভাবতে আবাক লাগে, যারা নারী জাতির বারোটা বাঁজিয়ে ছেড়েছে তারাই আবার নারী মুক্তি আন্দোলনের জন্য সভা-সমিতি করে আকাশ বাতাশ প্রকম্পিত করে তুলছে নানা রকম ভ্রান্ত ও অযৌক্তিক বক্তব্য দিয়ে। নারীর আর কি মুক্তি চায় তারা? তারা তো তাদের দেশের নারীদেরকে মুক্ত ভাবে ছেড়ে দিয়ে শর্বনাশের শেষ সীমায় নামিয়ে দিয়েছে।
পাশ্চাত্য সমাজে সাম্যের এমন বর্ণনা করা হল, যে নারী ও পুরুষ নৈতিক মর্যাদা এবং মানবীয় অধিকারের দিক দিয়ে শুধু সমান নয়, বরং পুরুষ যে কাজ করে নারীও তাই করবে। সাম্যের ভ্রান্ত ধারণার জন্য অফিস, আদালত কল কারখানার চাকরী, ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে পুরুষের
সাথে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অংশ গ্রহণ করে তাদের দাম্পত্য জীবনের গুরুদায়িত্ব, সন্তান প্রতিপালন ও গৃহের সু-ব্যবস্থা প্রভৃতি যাবতীয় করণীয় বিষয়গুলো নারীর কর্মসূচী হতে বাদ পড়ল। তাদের প্রকৃতিগত কাজকর্মের প্রতি ঘৃণা জন্মে গেল। সংসার জীবনের সখু শান্তি ধ্বংস হয়ে গেল। কেনই বা হবে না? যে নারী নিজে উপার্জন করে যাবতীয় প্রয়োজন মিটাতে সক্ষম, সাহায্যের প্রয়োজন হয় না, সে শুধু যৌন সম্ভোগের জন্য পুরুষের অধীন থাকবে কেন? এর ফলে পারিবারিক শান্তি না থাকায় তাদের জীবন তিক্ত হতে তিক্ততর হচ্ছে এবং একটি চিরন্তন দুর্ভাবনা তাদেরকে এক মুহূর্তের জন্যও শান্তি দিতে পারছে না। এটাই ইহলৌকিক জাহান্নাম যা লোকেরা তাদের নির্বূদ্ধিতা ও লোভ লালসার উন্মাদনায় করে নেয়।
জার্মান স্যোসাল ডেমোষেটিক পর্টির নেতা Babel স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন “নারী এবং পুরুষ তো পশুই। পশু দম্পত্তির মধ্যে কি কখনো স্থায়ী বিবাহের প্রশ্ন উত্থাপিত হয়?

Dr Drysdaly বলেন, এমন ব্যবস্থা অবলম্বন করা প্রয়োজন যার দ্বারা বিবাহ ছাড়া প্রেম করাকে সম্মানজনক মনে করা যায়। ইহা আনন্দের বিষয় যে, তালাকের পন্থা শিথিল হওয়ায় বিবাহের পথ বন্ধ হয়ে আসছে। কারণ এখন বিবাহটা মিলিত জীবন যাপন করার জন্য দুই ব্যক্তির মধ্যে একটি
চুক্তি এবং উভয় পক্ষ যখন ইচ্ছা তখন এ চুক্তির পরিসমাপ্তি ঘটাতে পারে। যৌন মিলনের এটাই একমাত্র সুষ্ঠু পন্থা। Paul Robin লিখেছেন, বিগত পঁচিশ বছরে আমরা এতখানি সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি
যে, অবৈধ সন্তানকে আমরা প্রায় বৈধ সন্তানের পর্যায়ে এনে ফেলেছি। এখন এতটুকু করার আছে যাতে এখন হতে শুধু অবৈধ সন্তান জন্ম লাভ করতে পারে। অজ্ঞ অশিক্ষিত দূরের কথা, শিক্ষিত সমাজ এবং ধর্মীয় নেতাগণও বহু দিন পর্যন্ত এ দ্বন্দের সম্মখুক্ষীন ছিল যে, নারী প্রকৃত মানুষ কিনা, আল্লাহ তা‘আলা তাদের মধ্যে কোন আত্মা দিয়েছেন কি না? হিন্দু ধর্মমতে বেদ নারীর জন্য নিষিদ্ধ। বৌদ্ধ ধমর্  মতে নারীর সংগে সম্পকর্  স্থাপনকারীর জন্য নির্বাণের কোন পন্থা নেই। খ্রিষ্টান ও ইহুদী ধমর্  মতে একমাত্র নারীই মানবীয় পাপের জন্য দায়ী। গ্রীসে গৃহিণীদের শিক্ষাদীক্ষা, সভ্যতা সংস্কৃতির অধিকার ছিল না। এ রূপ অবস্থায় আইনের দিক দিয়ে এবং মানসিক দিক দিয়ে ইসলাম একটি বিপ্লব সাধন করেছে।
বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়েছে, একজন নারী ঠিক ঐ রূপ একটি মানুষ যেমন একজন পুরুষ। 

আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
অর্থঃ তোমাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা একটি মানুষ হতে সৃষ্টি করেছেন এবং তা হতে তার জোড়া সৃষ্টি
করেছেন। (সূরা নিসা, ৪ঃ ১ আয়াত)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোন ব্যক্তি তার দুটি কন্যাকে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া পর্যন্ত প্রতিপালন করে তাহলে সে ব্যক্তি এবং আমি কিয়ামতের দিন এমন ভাবে একত্রে আগমন করব যেমন আমার দুটি আঙ্গুল একত্রে আছে। মানুষের মধ্যে যৌন বোধ সীমাহীন, অপ্রতিহত এবং অন্যান্য প্রাণী অপেক্ষা অতি মাত্রায় বেশী। তার যৌন ষিয়ায় সময়ের কোন বাধা নিষেধ নৈই। তার স্বভাবের মধ্যে এমন কোন শক্তি নেই যে, তাকে
কোন এক বিশেষ সীমারেখায় বন্ধ করে রাখতে পারে। নিয়ন্ত্রণ ও বাধা নিষেধের দ্বারা যৌন উচ্ছৃংখলতার সকল পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, চাহিদা, বাসনা বিবাহ ব্যবস্থার মাধ্যমে পূরণ করার জন্য বলা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে, প্রকাশ্য ঘোষণার দ্বারা।
সামাজিক নির্দেশের মধ্যে ইসলামের প্রথম কাজ নগ্নতার মূলোচ্ছেদ করা এবং নারী পুরুষের জন্য সতরের সীমারেখা নির্ধারণ করা। এ ব্যাপারে আরব জাহিলিয়াতের যে অবস্থা ছিল বর্তমান জাতিগুলোর অবস্থা প্রায় অনুরূপ। তারা একে অপরের সম্মুখে বিনা দ্বিধায় উলংগ্ন হত, গোসল ও মল
ত্যাগের সময় পর্দা করা তারা নি¯প্রয়োজন মনে করত। সম্পণূর্  উলঙ্গ হয়ে কাবা ঘরের তাওয়াফ করত এবং একে তারা উৎকৃষ্ট ইবাদত মনে করত। নারীরাও তাওয়াফের সময় উলঙ্গ হয়ে যেত। তাদের স্ত্রীলোকদের পোশাক এমন হত যে, বুকের কিছু অংশ, বাহু, কোমর এবং হাটুর নীচের কিছু অংশ অনাবৃত থাকত। এ অবস্থা ইউরোপ আমেরিকা এবং জাপানে দেখা যায়। শরীরের কোন অংশ অনাবৃত ও কোন অংশ আবৃত থাকবে তা নির্ধারণকারী সমাজ ব্যবস্থা পাশ্চাত্য দেশ সমূহে নেই।
আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
অর্থঃ হে মানব সন্তান! আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের শরীর আবৃত করার জন্য পোশাক অবতীর্ণ করেছেন এবং ইহা তোমাদের শোভাবর্ধক। ( সূরা আরাফ, ৭ঃ ২৬ আয়াত)।
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেনঃ
অর্থঃ হে নবী! আপনার স্ত্রীগণ, কন্যাগণ এবং মুসলিম নারীগণকে বলে দিন, তারা যেন আপন চাদর দ্বারা নিজের ঘোমটা টেনে দেয়। এ ব্যবস্থার দ্বারা আশা করা যায় যে, তাদেরকে চিনতে পারা যাবে,
অতঃপর তাদেরকে বিরক্ত করা হবে না। (সূরা আহযাব, ৩৩ঃ ৫৯ আয়াত)।
আল্লাহ তা‘আলা শরীয়তের সীমারেখা নির্ধারণ করে দিয়েছেন যাতে মানুষের কার্যাবলী একটা নিয়ম শৃঙখলার অধীন হয়। আর এর মাধ্যমে নারীর সঠিক মর্যাদা নির্ধারণ করা হয়েছে; একটু কমও নয়,
বেশীও নয়। সমাজ সংস্কার ও উন্নতি বিধানের জন্য উভয়ের মানবিক উন্নতি, মস্তিস্ক চর্চা, বিবেক ও চিন্তাশক্তির বিকাশ সমভাবে প্রয়োজন যাতে সমাজ সেবায় প্রত্যেকে আপন আপন ভূমিকা পণূর্ ভাবে গ্রহণ করতে পারে। নারী পুরুষের কাজ করবে এটা আল্লাহ পছন্দ করেন না। এতে মানবতার মঙ্গল হতে পারেনা।
আল্লাহ তা‘আলা উভয় শ্রেণীর মধ্যে কমর্  বন্টন করে দিয়েছেন। যে সমাজ এ কমর্  বন্টনকে মেনে নিবে না, সে সাময়িক ভাবে বৈষয়িক উন্নতি ও জাকজমকের মহড়া প্রর্দশন করতে পারে; কিš ‘ পরিণামে ধ্বংস অনিবাযর্। কারণ পুরুষের সকল আর্থিক ও সামাজিক দায়িত ¡ যখন নারীর উপর ন্যাস্ত করা হবে তখন সে নিজের উপর ন্যস্ত দায়িত্বের বোঝা দূরে নিক্ষেপ করবে। ফলে এর দ্বারা শুধু সমাজই ধ্বংস হবে না, মানবতাও ধ্বংস হয়ে যাবে। একটি সাধারণ মেশিনের অংশগুলি দ্বারা যদি কেহ উহাদের প্রকৃত কাজ না করায়ে এমন কাজে লাগায় যার জন্য উহাদেরকে তৈরী করা হয়নি
তাহলে সেই ব্যক্তিকে নির্বোধ ও অনভিজ্ঞ বলা হবে। এর ফলে প্রথমতঃ এ চেষ্টা নিস্ফল হবে এবং
নির্মাণ কাজ সম্ভব হবে না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেনঃ
অথর্ঃ তোমাদের নারী তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র স্বরূপ। (সুরা বাকারা, ২ঃ ২২৩ আয়াত)। এ আয়াতে কৃষক এবং শস্য ক্ষেত্রের সঙ্গে নারী পুরুষের উপমা দেয়া হয়েছে। একজন কৃষক ও তার শস্য ক্ষেত্রের মধ্যে যে সম্পকর্  থাকে তাদের উভয়ের মধ্যেও সেই সম্পকর্  থাকা দরকার। কৃষকের কাজ শুধুমাত্র তার ভূমিতে বীজ বপন করাই নয়। এতে পানি দেয়া, তদারক করা, রক্ষণাবেক্ষণ করারও প্রয়োজন আছে। নারী এমন শস্য ক্ষেত্র যে, কোন মানুষ পথ চলতে চলতে তাতে কোন বীজ বপন করলো, তারপর তা হতে আপনা আপনি গাছ উৎপন্ন হয়ে গেল। আসলেই
যখন সেই নারী গভর্ধারণ করে তখন সে প্রকৃত পক্ষে কৃষকের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়ে যাতে সে তার প্রতিপালন, রক্ষণাবেক্ষণ করে এবং সম্পণূর্  দায়িত্ব গ্রহণ করে। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত রয়েছেঃ
অর্থঃ তিনি (আল্লাহ) তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতে জোড়া সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা কান্তি লাভ করতে পার এবং তিনি তোমাদের মাঝে ভালবাসা ও করুনা স্থাপন করেছেন। (সূরা রুম,৩০ঃ ২১ আয়াত)। অন্যত্র বর্ণিত হয়েছেঃ
অর্থঃ তারা (স্ত্রী) তোমাদের পোশাক স্বরূপ এবং তোমরা তাদের পোশাক স্বরূপ। (সূরা বাকারা, ২ঃ১৮৭ আয়াত)।

স্বামী স্ত্রীর সম্পকর্  শুধু যৌন মিলন নয়, বরং সেই সম্পকর্  প্রেম ভালবাসার। তারা একে অপরের সুখ দুঃখের অংশীদার। তাদের মধ্যে এমন সহচাযর্  ও সংযোগ / সংস্পশর্  হবে যেমন হয় শরীর এবং
পরিধেয় বস্ত্রের মধ্যে। উভয়ের মধ্যে এমন সম্পকর্  ইসলামী সমাজের ভিত্তি প্রস্তরের মত। বিবাহিতা নারী যেমন স্বামীর অধীন, ঠিক তেমনি অবিবাহিতা নারী পরিবারের দায়িত্বশীল ব্যক্তির অধীন। কিছু এ অধীনতার অর্থ  এই নয় যে, তার ইচ্ছা এবং কাজের কোন স্বাধীনতা নেই, অথবা তার নিজের ব্যাপারে তার কোন স্বাধীনতা নেই। এর আসল মমর্  হচ্ছে সামাজিক ব্যবস্থাকে ফাটল ও বিশৃংখলা হতে রক্ষা করা। পরিবারের চরিত্র ও কার্যকলাপকে ভিতর ও বাহিরের বিপদ হতে রক্ষা করার দায়িত ¡
পুরুষের। এই শৃংখলা রক্ষার জন্যই নারীর অপরিহাযর্  কর্তব্য হল, এই শৃংখলা রক্ষার দায়িত্ব যার সে তার আনুগত্য করবে। তা সে তার স্বামী হোক, পিতা হোক অথবা ভাই হোক। আর নারী তার উন্ততি ও সাফল্যের উচ্চ শিখরে আরোহণ করবে। তবে তার উন্ততি ও সাফল্য যা কিছুই হবে তা নারী হিসাবে হতে হবে। তার পুরুষ সাজার কোন অধিকার নেই এবং পুরুষোচিত জীবন যাপনের জন্য তাকে গড়ে তোলা তার জন্য কিংবা সমাজের জন্য মঙ্গল নেই। কোন সন্দেহ নেই যে, মুসলিম রমণী ইসলামী শরীয়ত থেকে প্রচুর সম্মান লাভ করেছে যা তার সতীত্ত এবং সম্ভ্রম রক্ষার জন্য যথেষ্ট এবং যা তাকে উচ্চ মর্যাদা ও শীর্ষস্থান দান করে ধন্য করেছে।











allinallbd24

নামাজের বিধানে বান্দার কি কল্যাণ রয়েছে?


আল্লাহর অশেষ করুনা আমাদের উপর বর্ষিত হচ্ছে এবং আমরা আল্লাহর অফুরন্ত নিয়ামত উপভোগ করছি। তিনি আমাদেরকে উত্তম রিযিক দিয়েছেন, সুস্থতা দান করেছেন, সন্তান ও পরিবার পরিজন দান করেছেন, হায়াত দান করেছেন। তাঁর এই করুণা ও নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় দুই পদ্ধতির সমন্বয়ে হয়ে থাকে। তার প্রভুত্বকে স্বীকার করে প্রথমতঃ ভাল কাজ ও করুণার স্বীকৃতি মৌখিক নয়, বরং অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে করা এবং উহার প্রমাণ স্বরুপ নম্র ও বিনয়ের সাথে তাঁর জন্য সিজদায় মাথা অবনত করা। দিতীয়তঃ এই নি’আমতগুলিকে সংরক্ষণ করা এবং উহা ঐ ভাবে ব্যবহার করা যেভাবে তিনি পছন্দ
করেন। তাই সালাত আদায় করা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার হুকুমের বাস্তবায়নে অন্তরের নির্মলতা প্রকাশ, তাঁর মহব্বত ও মর্যাদার বহিঃপ্রকাশ। এই সালাত হচ্ছে পরিণামদর্শী সুদৃঢ় কাজ, যার রয়েছে নির্দিষ্ট সময়, বিশেষ এক অবস্থা এবং উন্নত পদ্ধতি। সালাত হচ্ছে ইবাদত সমূহের মধ্যে মূল এবং সর্বোত্তম আনগুত্য। এই সালাত আদায়ে হৃদয় শান্ত হয়, অন্তর সুস্থির হয়, শরীর আরাম বোধ করে, রাগ নিস্তেজ হয়,কু-প্রবৃত্তি দমন হয়। মুসলিমদের মাঝে সম্পকর্  সুদৃঢ় করা, মানুষের মাঝে সমতা ও সমবেদনা আনায়ন করা, আইন শৃংখলা রক্ষা, বিনয়ী শিষ্টাচার ও হক পালনের ব্যাপারে সালাত হচ্ছে আসল হাতিয়ার। এই সালাতের মাধ্যমে বান্দা তার সৃষ্টিকর্তার কাছে সাহায্য ও শক্তি প্রার্থনা করে, ভাল কাজে তাঁর
কাছে মদদ চায়। কঠোর দৃষ্টি অথবা কটু বাক্য অথবা নির্দয়ভাবে শক্তি প্রয়োগে যদি সৃষ্টির কারও প্রতি অনিষ্ট করে থাকে তাহলে ক্ষমা চায়। মানব জীবনে সালাত অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, যেমন প্রয়োজন খাদ্য ও পানীয় বস্তু কেননা খাদ্য ও পানীয় শরীর গঠনের মূল বা প্রধান উপকরণ এবং বেঁচে থাকার উপাদান। আর সালাত হচ্ছে আত্মার প্রকৃত উপকরণ ও শান্তনা পাবার উপাদান। সালাত মানুষের চরিত্রকে সংশোধন করে, জন্মগত অভ্যাসকে পরিবর্তন করে এবং সন্দেহ ও বিশৃংখলাপর্ণূ আদি অভ্যাসের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং তাকে অশ্লীল, নিকৃষ্ট ও ঘৃণিত কাজ থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেনঃ
অর্থ: নিশ্চয়ই সালাত অশ্লীল ও ঘৃণিত কাজ থেকে বিরত রাখে। (সূরা আনকাবুত, ২৯ঃ ৪৫ আয়াত)।


বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে স্বাস্থ্যগত দিক দিয়েও সালাতের অনেক উপকার রয়েছে যা পবিত্রতা, অযু, মেসওয়াক, দাঁড়ানো, রুকু,সিজদাহ ও বৈঠক থেকে আমরা পেয়ে থাকি।   ডাঃ মোহাম্মদ তারেক মাহমুদ উল্লেখ করেন
নামাজ হল এক উত্তম শরীর চর্চা। অলসতা, বিষনড়বতা ও বে-আমলের এই যগু সন্ধিক্ষণে শুধুমাত্র নামাজই এমন এক ব্যয়াম, যদি একে সার্বিক পদ্ধতিতে আদায় করা হয় তাহলে এর দ্বারা ইহকালীন সকল ব্যথার উপসম সম্ভব। নামাজের ব্যয়াম যেমনভাবে বাহ্যিক অঙ্গ প্রতঙ্গের সৌন্দযর্  বৃদ্ধি করে তেমনি আভ্যন্তরীণ অঙ্গ প্রতঙ্গ যেমন হৃৎপিন্ড, যকৃত, মূত্রাশয়, ফুসফুস, মস্তিস্ক, নাড়িভুড়ি, পাকস্থলী, মেরুদন্ড, গর্দান, সীনা ও সর্ব প্রকার এষধহফং ( দেহের রসগ্রন্থি)আবর্তিত করে শরীরকে সুঠাম ও সৌন্দর্যবান করে তোলে। আর এই ব্যয়ামগুলি এমন যার দ্বারা হায়াত বৃদ্ধি পায়। বৃদ্ধিপায় এক অসাধারণ শক্তি।

জনৈক ব্যক্তি (এ, আর কমর) তার ইউরোপ ভ্রমণ কাহিনীতে লিখেছেনঃ একদিন আমি নামাজ আদায় করছিলাম। আমার নামাজ শেষ হলে এক অমুসলিম বিশেষজ্ঞ আমাকে বলতে লাগলঃ ব্যয়ামের এই পদ্ধতি আমার বইয়ে লিখেছি এবং উল্লেখ  করেছি, যে ব্যক্তি এ পদ্ধতিতে ব্যয়াম করবে সে কখনো দীঘর্  মেয়াদী মারাত্মক ও জটিল ব্যাধিতে আক্তান্ত হবে না। অতঃপর এর ব্যাখ্যা এভাবে দিল যে, দন্ডায়মান ব্যক্তি যদি তৎক্ষণাৎ ব্যয়ামে গমন করে তাহলে তার সড়বায় ু ও হৃদপিন্ডের উপর এর প্রভাব মঙ্গল জনক হয় না। তাই আমি স্বীয় পুস্তকে এ কথা বিশেষ ভাবে তুলে ধরেছি যে, প্রথমে দাঁড়িয়ে ব্যয়াম করবে তখন হাত বাঁধা বাঞ্ছনীয় (অর্থাৎ কিয়াম) অতঃপর মাথা মাটিতে ঠেকিয়ে ব্যয়াম করতে হবে। এ ব্যয়াম কেবলমাত্র বিশেষজ্ঞগণই করতে পারবে। তার মন্তব্য শুনে মুসল্লী ব্যক্তি বলতে লাগলঃ আরে! আমি আপনার পুস্তক এখনও পড়িনি; আমি একজন মুসলিম, আমার ইসলাম

আমাকে এরূপ করার নির্দেশ দিয়েছে। আমি প্রত্যহ কমপক্ষে পাঁচবার এ রকম করে থাকি। এ কথা শুনতেই সেই ইংরেজ ব্যক্তি কিংকর্তব্য বিমুড় হয়ে তার কাছ থেকে ইসলামী জ্ঞান সম্পকের্  ধারণা নিতে লাগল। পাকিস্তানের একজন হৃদপিন্ডের রোগী স্বীয় রোগের চিকিৎসা করাতে অবশেষে যখন অষ্ট্রেলিয়া গিয়ে পৌছলেন তখন সেখানকার একজন হৃদপিন্ড বিশেষজ্ঞ তাকে পর্ণূ পরিদর্শনের পর তার জন্য কিছ ্ ুঔষধ ও একটি ব্যয়াম নির্ধারণ করে দিয়ে বললেনঃ আপনি আমার ফিজিও ওয়ার্ডে আমারই তত্বাবধানে আট দিন পর্যন্ত উক্ত ব্যয়াম করবেন। তাকে ব্যয়াম করানোর পর দেখা গেল তা ছিল খুশু খযু ও সন্তোষজনক এক পর্ণূাঙ্গ নামায। এবার পাকিস্তানী রোগী সেই ব্যয়ামটাকে পরিপর্ণূ ও সঠিক পদ্ধতিতে সহজেই আদায় করতে লাগল। এতদ্দর্শনে ডাক্তার বললেনঃ আপনি আমার প্রথম রোগী যে এত দ্রুত আমার এই ব্যয়ামটা শিখে উত্তমভাবে তা আদায় করতে পারলেন। বস্তুতঃ এখানে আট

দিনে রোগী শুধূ এ পদ্ধতিটা শিখে। এ কথা শুনে রোগী বলল, আমি হচ্ছি একজন মুসলিম, আর এ পদ্ধতি হল আমাদের পর্ণূাঙ্গ নামায। তাই এটা শিখতে আমার মোটেই বেগ পেতে হয়নি। অতঃপর দ্বিতীয় দিনেই ডাক্তার তাকে ঔষধ ও ব্যয়াম সম্পকের্  বিশেষ কিছু দিক নির্দেশনা দিয়ে বিদায় দিয়ে দিলেন।



allinallbd24

শুকরের মাংস খাওয়া হারাম কেন?

আল্লাহর মনোনীত ধর্ম  ইসলামের সুশৃংখল নিয়ম নীতি, বিধি নিষেধ, পৃথিবীর সমাজ ব্যবস্থা ও মানব জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে চরম ও পরম শান্তি দিতে পারে।
আল্লাহ তাআআলা মানব জাতির জন্য শুকরের মাংস খাওয়াকে সম্পূর্ণ  নিষেধ ঘোষণা করেছেন। পবিত্র কুরআনে এ সম্পকের্  আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরও কিছু নির্দেশের সাথে শুকুরের মাংস খাওয়াকে হারাম ঘোষণা করে বলেনঃ
তিনি তোমাদের উপর হারাম করেছেন মৃত প্রাণী, রক্ত ও শুকরের মাংস। ( সুরা বাকারা, ২ঃ ১৭৩ আয়াত)।

 অর্থ: মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস অপবিত্র। (সুরা আনআম, ৬ঃ ১৪৫ আয়াত)। এখানে প্রশ্ন হলো, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কেন শুকরের মাংস হারাম করলেন? কারণ হলো, জগতে যত প্রকার ক্ষতিকর জীবানু রয়েছে তন্মধ্যে সবচেয়ে খারাপ জীবানু ভান্ডার হলো শুকরের মাংস। তাতে রয়েছে এক প্রকার ধ্বংসাত্মক এবং মানব হত্যাকারী বিষাক্ত ও সর্বাপেক্ষা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস। শুকরের মাংসটাই মানুষের স্বাস্থের জন্য চরম ক্ষতিকর। স¤প্রতি পরীক্ষা নিরীক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে, শুকরের মাংস শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টিতে সহায়ক। তাই চিকিৎসকগণ এই ক্ষতিকর প্রাণীটির মাংস খাওয়ার ব্যাপারে মানুষকে জোরালোভাবে সতর্ক করে দিয়েছেন। বর্তমানে ইউরোপেও শুকরের মাংস আহার করা থেকে বিরত থাকার জন্য শক্তিশালী দাবী উঠেছে। তারা বৈজ্ঞানিক তথ্য ও ব্যাখ্যা সাপেক্ষে শুকরের মাংস থেকে ট্রিচিনিয়াসিস(
Trichineosis) নামক এক প্রকার কৃমির জন্ম দেয়, যার কারণে কোন কোন ক্ষেত্রে মানুষের মৃত্যুও ঘটে। ট্রিচিনেলা স্পাইরালিস Trichinella spiralis নামক সূতার মত এক প্রকার কৃমির মুককীট (Larva) রোগাষান্ত শুকরের মাংসে অবস্থান করে।

শুকরের মাংসের মাধ্যমে (
Taenia Solium) টিনিয়া সোলিয়াম নামক অন্য এক ধরনের কৃমিও সহজে মানুষের মধ্যে বিস্তার লাভ করে। কয়েক ফুট লম্বা এই ফিতা কৃমি শুকরের মাংসের ভিতরে অবস্থান করে। শুকরের মাংস ভক্ষণকারী ব্যক্তি শুকরের মাংস খাওয়ার সময় এই কৃমি সহজেই মানুষের পেটে প্রবেশ করে। কারণ এই কৃমির শুককীট (Larva) এই মাংসে পাওয়া যায়। যথেষ্ট সাবধানতা ও সতর্কতা অবলম্বন করা সত্তেও এই রোগে আক্তান্ত লোকের সংখা পাশ্চাত্য দেশসমূহে সর্বাধিক। এ ছাড়া এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী কোন কোন পন্ডিত ব্যক্তি অভিমত প্রকাশ করেন যে, শুকরের মাংস আহারকারী লজ্জা শরম হারিয়ে ফেলে। শুকরের মাংস অবৈধ হওয়ার কারণ সমূহের মধ্যে এটাও হতে পারে যা জীব বিজ্ঞানীগণ বর্ণনা করেছেন। যে প্রণীর মাংস খাওয়া হয় সেই প্রাণীর স্বভাব, যে তার মাংস খায়, তার মধ্যেও সেই স্বভাবের কিছুটা প্রতিফলন ঘটে। শুকরের স্বভাবের মধ্যে নিকৃষ্টতর স্বভাব হচ্ছে সংগম পদ্ধতি।শুকরের যখন সংগমের প্রয়োজন হয় তখন সেই দলে

যতটি পুরুষ শুকর রয়েছে সবগুলোই একের পর এক ধারাবাহিক ভাবে শুকরণীকে ব্যবহার করতে থাকে। এমনকি উক্ত দলে যদি দশটি শুকরও থাকে তাহলে একটার পর আর একটা অপেক্ষা করতে থাকে। সে চলে যাবার পর, আর একটি আসে, এমনি ভাবে সবার যৌন চাহিদা মিটিয়ে নেয়। গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা ও নিরীক্ষা করলে দেখা যায়, যারা শুকরের মাংস আহার করে তাদের মাঝেও এমন স্বভাব প্রতীয়মান ও প্রতিফলিত হতে দেখা যায়। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিশেষ ভাবে উল্লেখ  করতে পারি আমেরিকা ও ইউরোপ দেশগুলোর কথা। সেখানে শুকরের মাংস আহার করা বৈধ। তাদের অধিকাংশ লোক শুকরের মাংস খায়। আমার মনে হয়, সে কারণেই সেই দেশগুলো যৌন-স্বাধীন দেশে পরিণত হয়েছে। একজন যুবতী একাধিক বয়ফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরছে। যখন ইচ্ছা তখন তাদের যৌন চাহিদা মিটিয়ে নিচ্ছে। লজ্জা শরম ও ধর্মীয় কোন অনুভূতি তাদের নেই। নাইট ক্লাব, বিবাহপূর্ব যৌন মিলন, নর-নারীর অবাধ যৌন মেলামেশা এবং উলঙ্গ ক্লাব ইত্যাদি আধুনিক সৃষ্ট সভ্যতার যৌন অশ্লীলতার উজ্জল জঘন্য নিদর্শন। বিবাহের পূর্বে একজন বালিকা অন্য বন্ধ ু বান্ধবের সহচযর্  লাভ করে এবং বিবাহরে সময় তার বিগত জীবনের ঘটনাবলী ঘটকের নিকট অপ্রকাশ রাখার প্রয়োজন বোধ করে না। তার স্বজনগণও তার অন্য সঙ্গ লাভের জন্য কিছুই মনে করে না। বিবাহের সময় স্বামী যে শুধু  স্ত্রীর বিগত জীবন সম্পর্কেই অবহিত হয় তাই নয়, বরং যে সমস্ত বন্ধুবর্গ তার দেহ উপভোগ করেছে, তাও স্বামী জানতে পারে। এবং এমন কার্য কলাপের প্রতি তার কোন রূপ আপত্তি থাকে না।

 এমন কি তারা বিয়ে ছাড়া একত্রে বসবাস করা উত্তম মনে করে। উভয়ের মনের সাধ পরিপর্ণূ হওয়ার পর একে অপর হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্যত্র কোথাও প্রেম নিবেদন করার পর্ণূ অধিকার তাদের থাকে। এমনকি মা ছেলের সাথে, পিতা মেয়ের সাথে, বোন ভাইয়ের সাথে যৌন চাহিদা মিটাতে তাদের কোন দ্বিধা দ্বন্দ নেই। যখন আমি মক্কায় অধ্যায়নরত ছিলাম তখন এক মাসিক পত্রিকায় দেখলাম, জনৈক বৃটিশ সাংবাদিক লিখেছেনঃ 


এক যুবতী এক যুবকের সাথে সমস্ত রাত এক রুমে অবস্থান করার পর সকাল বেলা বিদায়ের সময় যুবতী তাকে বলছেঃ ভাই! তোমাকে অশেষ ধন্যবাদ, তুমি আজকে যে আনন্দ আমাকে দিলে এমন আনন্দ বাবাও আমাকে দিতে পারে না। উত্তরে সে বললঃ বোন! তুমি ঠিকই বলেছ! মাও আমাকে তাই বলে। আমাদের দেশে সাওতাল উপজাতিরা সাধারণতঃ শুকরের মাংস খেয়ে থাকে। তাদের মেয়েদেরকে কেউ যদি ধর্ষন করে এবং তা প্রকাশ পায় তাহলে কিছ ু জরিমানা স্বরুপ টাকা দিয়ে একটা খাওয়ার ব্যবস্থা করে। এরপর আর কোন অসুবিধা কেউ অনুভব করে না। অন্য দিকে যদি আমরা একটু আলোচনা করি তাহলে দেখতে পাই মুসলিমরা গরুর গোস্ত খায়। সৃষ্টিকর্তা তাদের জন্য হালাল বা বৈধ করেছেন।

যখন কোন গাভীর সংগমের ইচ্ছা জাগে তখন পুরুষ গরু বিভিন্ন আলামতের মাধ্যমে বুঝতে পারে এবং গাভীর কাছে ছুটে আসে। সেখানে যদি মাত্র দুইটি পুরুষ গরুর উপস্থিতি ঘটে তখন আমরা কি দেখতে পাই? আমরা দেখতে পাই সেখানে গাভীকে ব্যবহার করা বাদ দিয়ে উভয়ই পরস্পরে যেন যুদ্ধ ঘোষণা করে। উভয়ের একটি পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত এমন চলতেই থাকে। একটি গরু একটি গাভী ব্যবহার করবে, আর অপরটি তাতে অংশ গ্রহণ করা তো দূরের কথা, চোখ দিয়ে দেখবে এটাও গরু সহ্য করতে পারে না। এ হচ্ছে গরুর স্বভাব। যারা প্রকৃত মুসলিম তাদের জীবন বেঁচে থাকতে স্বীয় স্ত্রী অথবা মা অথবা বোনের প্রতি অপর পুরুষ স্পশর্  করা তো দূরের কথা, বরং কুদৃষ্টি নিক্ষেপ করুক এটাও তারা সহ্য করতে পারে না। ধর্মীয় বিধিবিধান তো বটেই। স্বভাবগত দিক দিয়েও এটাই সত্য।

হ্যাঁ, নামে মুসলাম অনেক রয়েছে। হালাল হারাম বিচার নেই, ধর্মীয় বিধিবিধান নেই, তাদের স্বভাব মুসলিম স্বভাবের ব্যতিষম হওয়াই স্বাভাবিক। এ প্রসঙ্গে কুকুরের স্বভাবের একটি বর্ণনা তুলে ধরতে চাই। আমার এক উস্তাদ ইতিহাস থেকে একটি গল্প বলেছিলেন। আরবের জাহিলিয়াত যুগে এমন লোক ছিল যারা পূর্ববর্তী ধর্মের অনুসরন করত। এক ব্যক্তির চারজন ছেলে ছিল। মৃত্যুর সময়চারজনকে ডেকে বললঃ আমি মারা যাওয়ার পর

তোমাদের মাঝে যদি সম্পদ নিয়ে ঝগড়া সৃষ্টি হয় তাহলে নিজেদের মাঝে ঝগড়া না করে অমুক স্থানে জনৈক ধমর্  জাযক রয়েছে, তার কাছে গিয়ের্  আল্লাহর বিধান অনুযায়ী তোমরা কে কতটুকু পাবে তা জেনে নিবে। তাদের পিতার মৃত্যুর পর চারজন পরামশর্  করে সেই ধর্মজাযকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হল। পথিমধ্যে যখন রাত হল তখন তারা তাবু খাটিয়ে রাত্রি যাপন করল। ভোরের দিকে কতকগুলি লোক দৌড়ে আসতে দেখে তারা তাদেরকে জিজ্ঞেস করলঃ তোমাদের কি হয়েছে, তোমরা দৌড়াচ্ছ কেন? তারা বললঃ আমাদের একটি উট ছুটে গেছে, মনে হয় এই পথে চলে গেছে। তখন লোকগুলি জিজ্ঞেস করলঃ তোমরা কারা, কোথা থেকে এসেছ এবং কি জন্য ও কোথায়ই বা যাচ্ছ? তারা জবাব দিলঃ আমরা পথিক, আরব থেকে এসেছি, অমুক ধর্মজাযকের কাছে যাব। লোকগুলি জিজ্ঞেস করলঃ তোমরা কি আমাদের উটটিকে দেখেছ? তাদের একজন বলল না আমরা দেখিনি; আচ্ছা তোমাদের উটের একটি পায়ের খুর কি ভংগা ? তাদের উটটির একটি পায়ের খুর আসলেই ভাংগা ছিল। তাই তারা ভাবল, এরাই উটটি জবাই করে খেয়েছে। আর খুর ভাংগার কথা তাই তো তারা জানে। তারা বললঃ হ্যাঁ, আমাদের সেই উটটির খুর ভাংগা ছিল। তোমরাই জবাই করে খেয়েছ,
তোমাদেরকে অবশ্যই জরিমানা দিতে হবে। তাদের অন্য ভাই বললঃ আল্লাহর কসম! আমরা তোমাদের উট দেখিনি। আচ্ছা, তোমাদের উটের একটি চোখ কি কানা?
আসলেই তাদের উটের একটি চক্ষু কানা ছিল। এবার তাদের বিশ্বাস আরো বেড়ে গেল যে, এরাই উটটি জবাই করে খেয়েছে তা না হলে কি করে তারা জানতে পারল যে, তাদের উটের এক চোখ কানা। তারা বললঃ হ্যাঁ, আমাদের উটের এক চোখ কানা। অতএব তোমরাই উটটিকে জবাই করে খেয়েছ তাতে কোন সন্দেহ নেই।
তাদের আর এক ভাই বললঃ আল্লাহর কসম করে বলছি! আমরা তোমাদের উট জবাই করে খাইনি। এমন কি তা আমরা আমাদের চোখেও কোন দিন দেখিনি। আচ্ছা তোমাদের উটটির মনে হয় লেজ নেই তাই না? এবার তাদের বিশ্বাস আরও একটু গাঢ় হলো যে, তারাই আসলে উটটি জবাই করে খেয়েছে। কিš ‘ জরিমানার ভয়ে স্বীকার করছে না। কারণ না দেখে উটের এমন সূ² ত্রুটির কথা কি করে জানলো? তারা বললঃ হ্যাঁ, আমাদের উটের লেজ নেই, আমরা তোমাদের কসম বুঝি না, এখন বাপু  তোমরা আমাদের উট কোথায় লুকিয়ে রেখেছ, তাড়াতাড়ি বের করে দাও। নতুবা তোমাদের কঠিন শাস্তি

দেয়া হবে। তাদের সবার বড় ভাই বললঃ আল্লাহর কসম করে আমরা বলছি যে, আমরা তোমাদের উটটি দেখিনি। কোথাও লুকিয়ে রাখিনি। আর না জবাই করে খেয়েছি। আচ্ছা তোমাদের উটটি দ্রুত গতিতে ছুটতে ছিল? আসলেই তাদের উটটি দ্রুত গতিতেই পালিয়ে গেছে। এবার তারা তাদেরকে বললঃ আমরা তোমাদেরকে আমাদের উট না দেয়া পর্যন্ত কোন মেই ছাড়তে পারি না। আর না হয় অমুক জায়গায় একজন ধর্মগুরু রয়েছে, তার কাছে চলো। তিনি যা ফায়সালা করে দেন তাই হবে। এবার সবাই সেই ধর্মগুরুর কাছে গিয়ে অভিযোগ করলো। আরবের মেহমানদারী প্রবণতা সেই যুগেও ছিল। তাই তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত শোনার আগে তাদের জন্য মেহমানদারীর ব্যবস্থা করলেন। তাদের জন্য কিছু আঙ্গুর, দধু , রুটির ব্যবস্থা করলো। তারা আঙ্গুর মুখে দিয়েই বললঃ আহ! এই আঙ্গুরগুলো যদি কবরস্থানের না হত, তাহলে কতই না ভাল হত!

রুটি খাওয়ার সময় তারা বললঃ রুটি কতই-না ভাল হত যদি সেগুলো হায়েজওয়ালী রমণী তৈরী না করত! দধু পান করে তারা বললঃ দুধের সম্পর্ক যদি কুকুরের সাথে না থাকত তাহলে কতই না সুস্বাদু হত! এদিকে ধর্মগুরু পার্শ্ব থেকে তাদের কথাগুলো শুনে তার চাকরকে গিয়ে গোপনে জিজ্ঞেস করলঃ তুমি কোথা থেকে, কোন গাছের আঙ্গুর এনেছ? সে বললঃ আমি বাগানের পাশে র্¦ একটি আঙ্গুরের গাছ আছে যা একটি কবর থেকে উঠেছে, সেখান থেকে এনেছি। এবার তিনি রাখালের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ আচ্ছা তুমি কোন বকরীর দধু মেহমানদেরকে দিয়েছ? সে বললঃ ঐ সেই বকরী যা জন্মের পর তার মা মারা যায়। তাই তাকে কুকুরের দধু পান করিয়ে পালন করা হয়েছিল। এবার ধর্মগুরু আশ্চর্য হয়ে যে মহিলা রুটি বানিয়েছে তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি বর্তমানে মাসিক অবস্থায় আছ? সে উত্তর দিলোঃ হ্যাঁ, আমি হায়েজ অবস্থায় আছি। এগুলো জানার পর ধর্মগুরু মেহমানদের খাওয়া শেষ হলে অভিযোগকারীদেরকে নিয়ে
আলোচনায় বসলেন। অভীযোগকারীরা তাদের সমস্ত ঘটনা বর্ণনা দিয়ে বললঃ আমাদের উট যদি তারা না দেখে থাকে তাহলে কিভাবে তরা আমাদের উটের ত্রুটিগুলি জানতে পারলো?
ধর্মগুরু তাদের জিজ্ঞেস করলেনঃ 

তোমরা যদি তাদের উট না দেখে থাক তাহলে কি করে বলেল যে, তাদের উটের ডান পায়ের একটি খুর ভাংগা? তাদের এক ভাই বললঃ জনাব! তারা যখন আমাদেরকে তাদের উটের কথা জিজ্ঞেস করছিল তখন আসে পাশে নজর করলাম। কোন উট এ পথে গেছে কিনা? আমি দেখতে পেলাম যে, একটি উট গমনের পায়ের চিহ্ন রয়েছে। তবে ডান পায়ের খুরটি ভাঙার চিহ্ন রয়েছে। তাই আমি জিজ্ঞেস করেছি যে, তাদের উটটির ডান পায়ের খুর ভাংগা কি না?


তিনি বললেনঃ এটা বুঝলাম, কিš ‘ কিভাবে এটা বুঝতে পেরেছ যে, উটটি কানা?
তাদের একজন বললঃ আমি লক্ষ্য করলাম যে, সেখানে কিছু ঘাস রয়েছে। এক পাশে খেয়েছে আর অন্য পাশে খায়নি। তাই তাদেরকে জিজ্ঞেস করলাম, তাদের উটটি কানা কিনা? তিনি বললেনঃ এটাও না হয় বুঝলাম কিš ‘ কিভাবে এটা জানতে পেরেছ যে, যে তাদের উটের লেজ নেই?

একজন বললঃ জনাব! উটের একটা স্বভাব আছে যে, মল ত্যাগ করার সময় লেজ নাড়াচাড়া করে। এর ফলে তার মল এক জায়গায় থাকে না। আমি দেখলাম যে, উটের মল এক জায়গায় রয়েছে। তাই তাদের বললাম, আমার মনে হয় তাদের উটের লেজ নেই।
তাদের উট যে দ্রুত গিয়েছে তোমরা যদি না দেখে থাক তা হলে কি করে জানলে? তাদের একজন বললঃ তারা যখন কথাবার্তা বলছিল আমি দেখলাম যে, রাস্তার ঘাসগুলো এখানে একটু খাওয়া ওখানে একটু খাওয়া। তাই তাদেরকে বলছিলাম যে, তাদের উটটি মনে হয় দ্রুত পালিয়ে গেছে। এবার ধর্মযাজক অভিযোগকারীদের বললঃ আসলে তারা তোমাদের উট দেখেনি, বরং বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে তারা এমন কথা বলেছে; তোমরা এখন চলে যেতে পার। অভিযোগকারী চলে যাবার পর ধর্মগুরু তাদেরকে প্রশ্ন করলেনঃ তোমরা কি করে জানতে পারলে যে, রুটিগুলো হায়েজওয়ালী মহিলা তৈরী করেছে? আংগুরগুলো কবরস্থান থেকে আনা হয়েছে এবং দুধের সম্পকর্  কুকুরের সাথে রয়েছে? তারা বললঃ জনাব! মহিলারা যখন পবিত্র থাকে তখন তারা ঠিকভাবে বসতে পারে এবং তাদের কাজগুলো নিপণু তার সাথে করতে পারে। আর যদি মাসিক হয় তখন ভালভাবে বসতে পারে না এবং কাজে মনোনিবেশ ঠিকভাবে দিতে পারে না। তাই রুটির অবস্থা দেখে আমরা এ কথা বলেছি। আর সাধারণ মাটি থেকে যে আংগুর হয় সেই আংগুর হয় মিষ্টি। কবর বা কবরস্থান থেকে যে গাছ হয় তার আংগুর হয় টক। আর দধু খেয়ে আমাদের মধ্যে এমন ভাব সৃষ্টি হয়েছিল যে, আপনার আদর ও মেহমানদারী পেয়ে আপনাকে জিহŸা দিয়ে চেটে তার বদলা দেই। এই অনুভূতি জাগার কারণে আমরা মনে করেছিলাম যে, এটাতো কুকুরের স্বভাব। হয়তো আমরা যে দধু খেয়েছি সেই দুধের সম্পর্ক কোন কুকুরের সাথে রয়েছে। তাই জীব বিজ্ঞানীগণ বলেন, যে প্রাণীর গোস্ত অথবা দধু খাওয়া হয় সেই প্রাণীর স্বভাব কিছুটা তাদের উপর প্রতিফলিত হয়।

 

All In All bd24

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget