ভুঁড়ি
ভুঁড়ি
দেখুন যেসব খাবার ও অভ্যাসে কখনোই ভুঁড়ি বাড়বে না
খাবারের লোভ সামলাতে পারে এমন লোক খুব কমই আছে পৃথিবীতে। আর খাবার পরেই বাধে বিপত্তি। হু হু করে বেড়ে যায় ভুঁড়ি। অনেক চেষ্টার পরে ওজন কিছুটা কমাতে পারলেও ভুঁড়ি আর কমাতে পারে না। বেশি খেলে ইনসুলিন হরমোনের কারনে তা ফ্যাট আকারে শরীরে জমে যায়। অর্থাৎ কার্বোহাইড্রেট কম খেয়ে, শরীরে গ্লুকোজের জোগান কমিয়ে ও ভালো করে ব্যায়াম করে অতিরিক্ত গ্লুকোজ নিঃশেষ করতে না পারলে, শরীরে কোনোভাবেই ফ্যাট কমাতে পারবে না।
তাহলে চলুন জেনে নেই, কিভাবে খাবার খেলে ভুঁড়ি বাড়বে না…
ফ্যাট জাতীয় খাবার খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। বাড়ে ওজন ও চর্বি। তবে ভাজা, প্রসেস্ড ফুড বা ফাস্ট ফুড থেকে পাওয়া ফ্যাট নয়। অল্প করে উপকারী ফ্যাটযুক্ত বাদাম–বীজ, অ্যাভোক্যাডো, ডিম, তৈলাক্ত মাছ, দুধ, পি-নাট বাটার ও অলিভ অয়েল খেতে পারেন। ময়দা,নরম পানীয়,মিষ্টি,ফলের রস বাদে, আটার রুটি-পাস্তা-নুডুল ভাত-রুটি-পাউরুটি কম। ব্রাউন রাইস-ব্রেড, খোসাসহ আলুতে সমস্যা কম। তার পরও আগের চেয়ে কম খান। পরিমাণমত ফল খান। পর্যাপ্ত সবুজ শাক-সবজি খান। সারা দিনে পূর্ণবয়স্ক, সুস্থ ও সচল মানুষের ১০০ গ্রাম চালের ভাত বা আটার রুটি, ৫০ গ্রাম ডাল,৫০০ গ্রাম শাক-সবজি, অন্তত ২০০ গ্রাম ফল এবং এক কাপ দুধ খাওয়া প্রয়োজন।
পূর্ণবয়ষ্ক, সুস্থ ও মাঝারি কর্মক্ষম মানুষ পরিমাপমতো শাক-সব্জি ও ফল খেলে ১২-১৪ গ্রাম ফাইবার পায় শরীরে। এতে পেট বেশি ক্ষণ ভরা থাকে, ১০ শতাংশের মতো ক্যালোরি কম ঢোকে ও ৪ মাসে দু’–এক কেজির মতো ওজন কমে থাকে৷ এসব না খেলে দিনে দুইবার দুই-তিন চামচ করে ইসবগুল খেতে পারেন। ডিনার করুন ৭টা, বড়জোর ৮টায়। তার পর ঘরের কাজ সারুন, একটু হাঁটাহাটি করুন। ঘুমাতে যান ঘণ্টা দুয়েক পর। খুব কম খেলে পেটে ক্ষুধা থাকে। তাতে ভুলভাল খাওয়া বেড়ে যায়। দীর্ঘ দিন ডায়েট করলে বিপাক ক্রিয়া কমে যায় এবং সমস্যা বাড়ে। চিনি-দুধ ছাড়া চা-কফি খেতে পারেন৷ পানি খান ৮-১০ গ্লাস অন্তত৷ পারলে একটু ঠান্ডা পানিই ভালো। প্রতিদিন খাওয়ার সময় ঠিক রাখুন। প্রত্যেকবার পেট একটু খালি রেখে খান। দিনে ৩ বার অন্যান্ন খাবার খাবেন। ক্ষুধার ভাব ও চর্বি কমাতে ভালো ঘুমাতে হবে। কাজেই রাতে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, গম্ভীর আলোচনা, কফি পান ইত্যাদি বন্ধ করুন।
সকালে দুধ-চিনি ছাড়া কফি/চা খেয়ে ৪০-৫০ মিনিট এমন ভাবে হাঁটুন, যাতে হার্টরেট আপনার বয়স অনুপাতে সঠিক থাকে (বয়স ভেদে কত হার্টরেট ঠিক তা জেনে নিন ডাক্তরের কাছ থেকে)। ঠান্ডার সময় অল্প ঘাম হলে ও হাঁপিয়ে উটলেও দুই-একটা কথা বলতে পারেন। সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, ঘণ্টা চারেক একটানা বসে থাকলে কোলেস্টেরল ও ফ্যাট মেটাবলিজমের সমস্যা হয়। তাই সেই দিক রুখে দিতে পারলে অনেকটা ঝরঝরে থাকবেন। অফিসেও একটানা বসে না থেকে এক-দুই ঘণ্টা অন্তর অন্তর একটু হাঁটাহাঁটি করে আসতে পারেন।
Easy Spoken English Part-1 to 12
Go to the You Tube channel for full Course.
Post a Comment