All Kinds of Tips and Tutorials Available Here

Latest Post



 

মহামারী হতে রক্ষায় এবং হাজারও রোগের ঔষধ কালোজিরা! 


 মহামারী হতে রক্ষায় এবং হাজারও রোগের ঔষধ কালোজিরা!

কালো জিরার বোটানিক্যাল নাম হচ্ছে নাইজিলা সাটিভটা (Nigella sativa).। এটা রাজা টুট এর সমাধি হতে আবিষ্কৃত হয় বলে জানা যায়। এবং এটা পরকালে ব্যবহার করা হয় বলে ধারনা করা হত। মানুষ ২০০০ বছর ধরে কালো জিরার বীজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করেছে।
মসলা হিসেবে কালো জিরার অনেক চাহিদা। কালো জিরার বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়, যা মানব শরীরের জন্য খুব উপকারি। এতে আছে ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস। এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক কেরটিন, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান এবং অ¤ø রোগের প্রতিষেধক।


কালো জিরার স্বাস্থ্যগুন ও উপকার নিচে দেওয়া হলঃ


যে কোন র্চমরোগে কালোজিরাঃ


সমপরিমাণ কালোজিরা তৈল এবং গোলাপ ফুলের নির্যাস এবং তার দ্বিগুণ পরিমাণ ময়দা মিশিয়ে খামির (মলম) বানাতে হবে । এই মলমের মালিশের পূর্বে র্চমরোগের আক্তান্ত অংশ পাতলা সিরকায় ভেজানো তুলা দিয়ে মুছে রোদে শুকাতে হবে । এভাবে প্রতিদিন নিয়মিত লাগাবে এবং র্চমরোগে অহিতকর সর্বপ্রকার খাদ্য -যেমন,মাছ ,ডিম,আম প্রভৃতি বর্জন করতে হবে ।


বাতরোগে কালোজিরাঃ


কালোজিরার তৈল গরম করে বাতে আক্তা স্থান উত্তমরুপে মালিশ করবে ,এবং ঘুমের পূর্বে কালোজিরা ফুটানো পানি সামান্য মধু মিশিয়ে পান করবে, এভাবে চলতে থাকলে ইনশাআল্লাহ কয়েকদিনেরই তুমি সুফল পাবে ।


হাইপ্রেসারে কালোজিরাঃ

যখন কোন গরম পানীয় পান করবে তখনই কয়েক ফোঁটা কালোজিরা তৈল এবং দু টুকরা রসুন সেবন করবে । আর সপ্তাহে একবার রোদের তাপে প্রতিদিন গোটা শরীর কালোজিরার তৈল মালিশ করা অতি উত্তম হবে । আল্লাহ চাইলে অতিসত্তর আরোগ্য লাভ হবে । রক্তের  কোলেষ্টরল কমাতে , এক চামচ পরিমাণ কালোজিরার চূর্ণ,এক চামচ মধু মিশিয়ে বাসি পেটে সেবন করতে হবে ।  


শ্বাস কষ্ট হাঁপানিতে কালোজিরাঃ

প্রতিদিন সকাল-সন্ধায়  কালোজিরার তৈলের ভাপ নাক দিয়ে টানবে, এবং তার সাথে বুক গলা প্রতিদিন ঘুমের পূর্বে ভালোভাবে কালোজিরার তৈলদ্বারা মালিশ করবে, সাথে সাথে নাস্তার পূর্বে একচামচ পনিমাণ শকনো কালোজিরা সেবন করবেন।

    1. মাথাব্যথা, চুলপড়া, অনিদ্রা, মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা উপযোগী।
    2. মেধার বিকাশের জন্য কালিজিরা দ্বিগুণ হারে কাজ করে। কালিজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক।
    3. দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালিজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে ; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে।
    4. হজমের সমস্যায় ১-২ চামচ কালোজিরা বেটে পানির সঙ্গে খেতে পারনে । প্রতিদিন দু-তিন বার খেলে হজম শক্তি বেড়ে যাবে এক মাসের মধ্যে । পাশাপাশি পেট ফাপা ভাব থাকলে তাও দূর হবে।
    5. নিয়মিত কালোজিরা খান। এটি মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়। যার দরুন স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়। এর সঙ্গে এটি প্রাণশক্তি বাড়ায় ও ক্লান্তি দুর করে।
    6. কালোজিরা যৌন ব্যাধি ও স্নায়ুবিক দুর্বলতায় আক্রান্ত রোগীদের জন্যও অতি উৎকৃষ্ট ঔষুধ।
    7. শুলবেদনা ও প্রসুতি রোগে কালোজিরা অত্যধিক উপকারী। ব্রæনের জন্যও এটি উত্তম ঔষধ।
    8. মূত্রথলির পাথর ও জন্ডিস থেকে আরোগ্য লাভ করতে কালোজিরা খান নিয়মিত যতবার পারেন।
    9. অধিক ঋতুস্রাব, মাত্রাতিরিক্ত পেশাব প্রতিরোধ করতে কালোজিরার উপকারিতা অপরিসীম। এটি কৃমি নাশক।
    10. সন্তান প্রসবের পর কাঁচা কালিজিরা পিষে খেলে শিশু দুধ খেতে পাবে বেশি পরিমাণে।
    11. কালিজিরা কৃমি দূর করার জন্য কাজ করে।
    12. বহুমুত্র রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং নিম্ন রক্তচাপকে বৃদ্ধি করে ও উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করে।
    13. মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।
    14. মায়েদের বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন রাত্রে শোবার আগে ৫-১০ গ্রাম কালোজিরা মিহি করে দুধের সঙ্গে খেতে থাকুন। ইনশাল্লাহ মাত্র ১০-১৫ দিনে দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে। এছাড়া এ সমস্যা সমাধানে কালোজিরার ভর্তা করে ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন।
    15. নিয়মিত কালোজিরা সেবনে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সতেজ করে ও সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করে।



 
https://allinallbd24.blogspot.com/

ঘন ঘন প্রস্রাব থেকে এড়িয়ে চলতে এই ৬টি খাবার


আমরা অনেকেই বার বার টয়লেটে যেয়ে থাকি । এর কারণে অনেকেই কোথাও বেরনোর আগে একবার হলেও বাথরুমে উকি মারেন। আবার বাসে বা ট্রেনে যাতায়াতের সময়ও কমপক্ষে কয়েকবার এই সমস্যায় পড়েন।
 
এই পরিস্থিতি পুরুষেরা সামলে নিতে পারলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মহিলারা সমস্যায় পড়েন মহিলারা। এজন্য কোথাও জাওয়ার আগে তাদের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যা দুর্বল মূত্রস্থলীর কারনে হতে পারে। এমন আরও কয়েকটি কারণ রয়েছে যেগুলোর প্রভাবে মূত্রস্থলী (ব্লাডার) দুর্বল হয়ে যেতে পারে। যেমন বয়সের কারণে, গর্ভধারণের পরও ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসার সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়াও কিছু স্নায়বিক, মানসিক বা প্রদাহজনিত কারণে মূত্রস্থলী দুর্বল হতে পারে।
তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো এড়িয়ে চললে বা কম খেলে এই সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। এবার এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক…

১. মূত্রনালির সংক্রমণ, মূত্রস্থলী (ব্লাডার) সমস্যা  থাকলে সোডা বা সোডাযুক্ত খাবার  খেলে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই কার্বনেটেড বা সোডাযুক্ত খাবার অথবা এসব পানীয় থেকে দূরে থাকুন।

২.আপনার যদি মূত্রস্থলীতে সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ছেড়ে দিন। কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন মূত্রস্থলীর সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়।

৩. ফল খাওয়া শরীর এবং স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। যদি আপনার মূত্রস্থলীতে কোন সমস্যা থাকে তাহলে অ্যাসিডিক ফল (যেমন আনারস ,আঙুর, আপেল,কমলালেবু, টমেটো, ইত্যাদি) মূত্রনালির সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে এসব ফল না খাওয়াই ভাল।

৫. মূত্রনালি বা মূত্রস্থলীতে সংক্রমণ, মূত্রস্থলী (ব্লাডার) কোন রকম সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ ঝাল বা অতিরিক্ত মশলাদার খাবার মূত্রস্থলীতে সমস্যার তৈরি করে।

৬. মদ পান করলে বেশি বেশি প্রস্রাব পায়, এ কথা অনেকেই হয়ত জানেন না। অ্যালকোহলের প্রভাবে পেটের সঙ্গে সঙ্গে মূত্রস্থলীতেও সমস্যার তৈরি করে। যার ফলে সংক্রমণের প্রবণতা থাকলে বা মূত্রস্থলীতে কোন রকম সমস্যা থাকলে অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।



বাজার থেকে কেনা পণ্য সহজে ভাইরাসমুক্ত করার কিছু জরুরি টিপ’স সমূহ

Fact Covid-19

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে আতঙ্কিত চারপাশের মানুষ সাথে বদলে ফেলেছে সবার যিবনযাপনের রুটিন। সংক্রমণের ভয়ে ঘরবন্দি হয়ে থাকছেন মানুষ। কিন্তু অতি প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য আমাদের বাজারে যেতেই হবে। আবার বাজার থেকে আনা জিনিসগুলো জীবাণুমুক্ত আছে কি-না তা নিয়েও চিন্তার শেষ নেই।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের হাঁচি-কাশির সঙ্গে বের হয়ে থাকে এই ভাইরাস। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সেগুলো বেরিয়ে বাতাসে মেশে। কেউ ওই বাতাস নিঃশ্বাসের সঙ্গে টেনে নিলে সেও আক্রান্ত হবে এবং সেই ভাইরাসযুক্ত কণাগুলো যেসব জায়গায় লেগে থাকে সেসব স্থান হাত দিয়ে স্পর্শ করলে ও হাত নিজের মুখে দিলে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটবে তার মধ্যে।
বাজারে ও কোনো জনসমাবেশে অন্য লোকের কাছাকাছি আসার মাধ্যমে করোনার ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। এ কারণে অন্য মানুষের থেকে অন্তত দুই মিটার দূরত্বে থেকে প্রয়োজনীয় চলাফেরা করতে বলা হচ্ছে।

লন্ডনের স্কুল ফর হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের অধ্যাপক স্যালি ব্লুমফিল্ড বলেন, ‘ভাইরাস ছড়ানোর একটা উত্তম জায়গা হলো বাজার। বাজারে আপনি যেসব পণ্যে দেখে দেখে কিনছেন সেগুলো আপনার আগে আরও অনেকে হাত বুলিয়ে গেছে। যে টাকা আপনি দিচ্ছেন এবং নিচ্ছেন সেখানে আরও অনেক লোকের হাত পড়েছে। নগদ অর্থে পণ্য কিনলে যে খুচরা আপনাকে ফেরত দিচ্ছে সেগুলোও কিছুক্ষণ আগে অনেক লোকের হাত ঘুরে এসেছে। এটিএম মেশিন থেকে আপনি যদি পয়সা তুলে থাকেন, সেখানেও মেশিনের বোতামে আপনার আগে আরো অনেক লোকের হাত পড়েছে। তাছাড়া রয়েছে বাজারে আপনার ধারেকাছে দাঁড়ানো শত শত মানুষরা।

অধ্যাপক স্যালি ব্লুমফিল্ডের পরামর্শ, ‘বাজারে যাওয়ার আগে এবং বাজার থেকে ফিরে আসার পর সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে ভালো ভাবে হাত ধোতে হবে ও অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ভালো ভাবে হাত পরিষ্কার করতে হবে। সবচেয়ে ভাল হয় নগদ অর্থ ব্যবহার না করে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করবেন। তবে কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কিছুটা ঝুঁকি আছে। একারণে কার্ড ব্যবহারের সময় দোকানের কলম ব্যবহার বা পিন নম্বর দেওয়ার জন্য বোতাম চাপার পর হাত ভাল ভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।

অধ্যাপক স্যালি ব্লুমফিল্ড আরও বলেন, ‘রান্না খাবারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রিমণের তেমন কোন ঝুঁকি নেই। তবে কাঁচা শাকসবজি, ফলমূলের ক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকি থাকে। সবকিছু ভালো করে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে শুকিয়ে তারপর সেগুলো ব্যবহার করবেন। 

আর প্লাস্টিকের প্যাকে, কাঁচের পাত্রে বা টিনে বিক্রি হচ্ছে এমন কিছু কিনলে সেগুলো ৭২ ঘণ্টা না ছুঁয়ে অন্নত্র সরিয়ে রাখুন। তৎক্ষনাত ব্যবহার করতে চাইলে সেগুলো ভালো ভাবে জীবাণুমুক্ত করার তরল পদার্থ দিয়ে মুছে নিতে হবে। তবে কড়া ব্লিচ ব্যবহার করা যাবে না। বোতলের গায়ে দেওয়ার মাত্রা দেখে নেবেন কতটা পরিমাণ পানি মিশিয়ে তা পরিমানমত হালকা করে নিতে হয়।

অনলাইন শপগুলোর দেওয়া খাদ্যসামগ্রী বাসায় পৌঁছে দেওয়ায় এক অর্থে ঝুঁকি কমায়, কারণ এক্ষেত্রে মানুষের ভিড়ে যেতে হয় না। তবে এক্ষেত্রেও ঝুঁকি আছে। অনলাইনে ডেলিভারি দেওয়া পণ্য অন্য কেউ হাত দিয়ে ধরেছে কি-না, যে বাক্সে বা ব্যাগে করে বাজার আনা হচ্ছে সেগুলো কারা ধরেছে এবং যে ব্যক্তি হাতে করে বাজার পৌঁছে দিচ্ছে তিনি আক্রান্ত বা জীবাণু বহন করছে কি-না এসব চিন্তার বিষয়।

এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ‘যে বাজার নিয়ে এসবে তাকে নিরাপদ দূরত্ব থেকে বাজারের ব্যাগ রেখে চলে যেতে বলুন। জিনিসগুলো কাঁচা বাজার হলে ঠান্ডা পানিতে সেগুলো ধুয়ে শুকিয়ে তুলে রাখতে হবে। আর বোতল, প্যাকেট বা টিন হলে জীবাণুমুক্ত করার জন্য তরল পদার্থ দিয়ে (ব্লিচ পাতলা করে গুলে) সেগুলো মুছে নিন। খেয়াল রাখবেন তরল পদার্থ যেন খাদ্যদ্রব্য স্পর্শ না করে।

ইংল্যান্ডের ওয়ারইক মেডিকেল স্কুলের ড. জেমস গিল বলেন, ‘সঠিক মাত্রায় বাসার কাজে ব্যবহার করা যায় এমন ব্লিচ  ব্যবহার করলে এক মিনিটের মধ্যে ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়।

বাহির থেকে অর্ডার দিয়ে কিনে আনা খাবারের বিষয়ে অধ্যাপক ব্লুমফিল্ড বলছেন, ‘স্বাস্থ্যসম্মতভাবে প্রস্তুত করা  গরম খাবার থেকে কোনো ঝুঁকি থাকে না। তবে এক্ষেত্র সবসময় গরম খাবার কিনবেন এবং বাসি খাবার ভালো ভাবে গরম করে খাবেন, যাতে কোনো জীবাণু থাকলে মরে যায়।







ভুঁড়ি

দেখুন যেসব খাবার ও অভ্যাসে কখনোই ভুঁড়ি বাড়বে না

খাবারের লোভ সামলাতে পারে এমন লোক খুব কমই আছে পৃথিবীতে। আর খাবার পরেই বাধে বিপত্তি। হু হু করে বেড়ে যায় ভুঁড়ি। অনেক চেষ্টার পরে ওজন কিছুটা কমাতে পারলেও ভুঁড়ি আর কমাতে পারে না। বেশি খেলে ইনসুলিন হরমোনের কারনে তা ফ্যাট আকারে শরীরে জমে যায়। অর্থাৎ কার্বোহাইড্রেট কম খেয়ে, শরীরে গ্লুকোজের জোগান কমিয়ে ও ভালো করে ব্যায়াম করে অতিরিক্ত গ্লুকোজ নিঃশেষ করতে না পারলে, শরীরে কোনোভাবেই ফ্যাট কমাতে পারবে না।

তাহলে চলুন জেনে নেই, কিভাবে খাবার খেলে ভুঁড়ি বাড়বে না… 

ফ্যাট জাতীয় খাবার খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। বাড়ে ওজন ও চর্বি। তবে ভাজা, প্রসেস্ড ফুড বা ফাস্ট ফুড থেকে পাওয়া ফ্যাট নয়। অল্প করে উপকারী ফ্যাটযুক্ত বাদাম–বীজ, অ্যাভোক্যাডো, ডিম, তৈলাক্ত মাছ, দুধ, পি-নাট বাটার ও অলিভ অয়েল খেতে পারেন। ময়দা,নরম পানীয়,মিষ্টি,ফলের রস বাদে, আটার রুটি-পাস্তা-নুডুল ভাত-রুটি-পাউরুটি কম। ব্রাউন রাইস-ব্রেড, খোসাসহ আলুতে সমস্যা কম। তার পরও আগের চেয়ে কম খান। পরিমাণমত ফল খান। পর্যাপ্ত সবুজ শাক-সবজি খান। সারা দিনে পূর্ণবয়স্ক, সুস্থ ও সচল মানুষের ১০০ গ্রাম চালের ভাত বা আটার রুটি, ৫০ গ্রাম ডাল,৫০০ গ্রাম শাক-সবজি, অন্তত ২০০ গ্রাম ফল এবং এক কাপ দুধ খাওয়া প্রয়োজন।

পূর্ণবয়ষ্ক, সুস্থ ও মাঝারি কর্মক্ষম মানুষ পরিমাপমতো শাক-সব্জি ও ফল খেলে ১২-১৪ গ্রাম ফাইবার পায় শরীরে। এতে পেট বেশি ক্ষণ ভরা থাকে, ১০ শতাংশের মতো ক্যালোরি কম ঢোকে ও ৪ মাসে দু’–এক কেজির মতো ওজন কমে থাকে৷ এসব না খেলে দিনে দুইবার দুই-তিন চামচ করে ইসবগুল খেতে পারেন। ডিনার করুন ৭টা, বড়জোর ৮টায়। তার পর ঘরের কাজ সারুন, একটু হাঁটাহাটি করুন। ঘুমাতে যান ঘণ্টা দুয়েক পর। খুব কম খেলে পেটে ক্ষুধা থাকে। তাতে ভুলভাল খাওয়া বেড়ে যায়। দীর্ঘ দিন ডায়েট করলে বিপাক ক্রিয়া কমে যায় এবং সমস্যা বাড়ে। চিনি-দুধ ছাড়া চা-কফি খেতে পারেন৷ পানি খান ৮-১০ গ্লাস অন্তত৷ পারলে একটু ঠান্ডা পানিই ভালো। প্রতিদিন খাওয়ার সময় ঠিক রাখুন। প্রত্যেকবার পেট একটু খালি রেখে খান। দিনে ৩ বার অন্যান্ন খাবার খাবেন। ক্ষুধার ভাব ও চর্বি কমাতে ভালো ঘুমাতে হবে। কাজেই রাতে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, গম্ভীর আলোচনা, কফি পান ইত্যাদি বন্ধ করুন।

সকালে দুধ-চিনি ছাড়া কফি/চা খেয়ে ৪০-৫০ মিনিট এমন ভাবে হাঁটুন, যাতে হার্টরেট আপনার বয়স অনুপাতে সঠিক থাকে (বয়স ভেদে কত হার্টরেট ঠিক তা জেনে নিন ডাক্তরের কাছ থেকে)। ঠান্ডার সময় অল্প ঘাম হলে ও হাঁপিয়ে উটলেও দুই-একটা কথা বলতে পারেন। সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, ঘণ্টা চারেক একটানা বসে থাকলে কোলেস্টেরল ও ফ্যাট মেটাবলিজমের সমস্যা হয়। তাই সেই দিক রুখে দিতে পারলে অনেকটা ঝরঝরে থাকবেন। অফিসেও একটানা বসে না থেকে এক-দুই ঘণ্টা অন্তর অন্তর একটু হাঁটাহাঁটি করে আসতে পারেন।

 

Easy Spoken English Part-1 to 12




All In All bd24

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget